কত নম্বরে রাসেল-মর্গ্যান-কার্তিক? দেখা যাক পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেকেআরের সম্ভাব্য ব্যাটিং অর্ডার


বার বার প্রশ্ন উঠছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। সুনীল নারিনের ব্যর্থতা উদ্বেগ এনেছিল। ওপেনার হিসেবে রাহুল ত্রিপাঠীর ফর্ম সেই চিন্তা কমালেও, মিডল অর্ডার নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। দেখে নেওয়া যাক আজ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেমন হতে পারে কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডার।


শুভমন গিল- তরুণ এই পঞ্জাব তনয় পাঁচ ম্যাচ শেষে কেকেআরের হয়ে সব চেয়ে বেশি রান করেছেন (১৬৩)। ওপেনার হিসেবে তিনি থাকছেন এটা বলাই বাহুল্য।


রাহুল ত্রিপাঠী- চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের কাণ্ডারি তিনিই। ওপেনার হিসেবে আইপিএলে আগেও ছাপ রেখেছিলেন রাহুল। তবে কলকাতার হয়ে এটাই ছিল ওপেনার হিসেবে প্রথম ম্যাচ। আর তাতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও তাঁকেই সম্ভবত দেখা যাবে ওপেন করতে।


নীতিশ রাণা- ধারাবাহিক ভাবে তিনে নেমে সফল রাণা। পাঁচ ম্যাচে একটি মাত্র পঞ্চাশ করলেও, স্ট্রাইক রেট প্রায় দেড়শ। তাই তিন নম্বরে তিনিই থাকছেন।

                                        

অইন মর্গ্যান- ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ব্যাটিং অর্ডার বার বার বদলাচ্ছে। তবে যখনই নেমেছেন ছাপ রেখেছেন। কলকাতার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান সংগ্রহের তালিকায় তিনি দ্বিতীয় (১৪৩)। চার নম্বরে নামলে তিনি যেমন দরকারে ইনিংস ধরতেও পারবেন তেমনই দ্রুত রান তোলার সুযোগও পাবেন।

                                         

আন্দ্রে রাসেল- ব্যাটে ও বলে কলকাতার অন্যতম ভরসা। পাওয়ার হিটার তিনি। ফিনিশার হিসেবে তাঁর উপর ভরসা করাই যায়। তবে এখনও পর্যন্ত ব্যাটে সেই ভাবে সফল নন। তবুও পাঁচ নম্বরে নেমে দলকে টানার দায়িত্ব তিনি নিতেই পারেন।

                                         

দীনেশ কার্তিক- এ বারের আইপিএলে ব্যাটে রান নেই কেকেআর অধিনায়কের। তাই নীচের দিকে নেমে বাকিদের এগিয়ে দিয়ে দেখতেই পারেন। গত ম্যাচে সাত নম্বরে নেমেছিলেন। ফলে নিজেকে ফিনিশার হিসেবে ভাবতেই পারেন কার্তিক। ম্যাচের পরিস্থিতি বিচার করে যদিও বদলাতেই পারে তাঁর ব্যাটিং অর্ডার।


সুনীল নারিন- ওপেনিংয়ে নেমে চমক এ বারে কাজে লাগছে না। গত ম্যাচে চারে নেমে বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। তাই শেষের দিকে নেমে দ্রুত রান তোলার কাজে ভাবা যেতেই পারে তাঁকে।


প্যাট কামিন্স- অজি পেসার যে ব্যাট হাতেও কার্যকর তা দেখা গিয়েছে। তাই আট নম্বরে তাঁকেই চাইবে কেকেআর।


শিবম মাভি- তরুণ এই পেসার বেশ কার্যকর হয়ে উঠছেন দলে। ইতি মধ্যেই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। দলে তাঁর জায়গা পাকা বলাই যায়।


কমলেশ নাগারকোটি- মাভি, কামিন্সের সঙ্গে তৃতীয় পেসারের জায়গায় থাকবেন তিনিই। এই পেস বাহিনী বিপদে ফেলছে অনেক দলকেই।


বরুণ চক্রবর্তী- এই বিস্ময় স্পিনার ইতিমধ্যেই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তাঁর বোলিংয়ের দাপটে দলে জায়গা পাচ্ছেন না চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবও। নারিনের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে তিনিই থাকবেন সম্ভবত।














Post a Comment

0 Comments